অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় পেট্রোলে জ্বালিয়ে সবুজ নামের এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর জ্বালিয়ে দেওয়া তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি সবুজের গায়ের ওপর রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর এলাকার গজারিয়া মাঠের একটি মেহগনি বাগান থেকে সবুজের পুড়ে ছাই হওয়া মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে রাতে দুর্বৃত্তরা সবুজকে পুড়িয়ে মেরে রেখে যায় বাগানটিতে।
খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান লালন ও থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। নিহত সবুজ (২২) উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের গরু ব্যবসায়ী ও আওয়ামীলীগ নেতা জয়নাল আলীর ছেলে।
আটককৃত দুই যুবক পৌর এলাকার বন্ডবিল গ্রামের জিহাদ (২৫) ও বাদেমাজু গ্রামের সৈকত (২৭)। তারা দুজনেই নিহতের সাথে পুরাতন মোটরসাইকেল কেনাবেচা করতো।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে কৃষকেরা ধান ক্ষেতে কাজ করতে যায়। এসময় বেলগাছি ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামের গজারিয়া মাঠের মেহগনি বাগানে পৌঁছালে আগুনের পোড়া একটি বাজাজ ডিসকভার মোটরসাইকেলের নিচে এক যুবকের পোড়া মরদেহ দেখতে পায়। তাদের চিৎকারে পথচারীরা আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ সেটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নিহতের বন্ধু মশিউর রহমান বলেন, ‘বুধবার বিকেলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। সন্ধ্যায় মুঠোফোনে কথা হলে সে মোটরসাইকেল বিক্রি করছে জানিয়ে ফোন কেটে দেয়। রাত ৯ টায় সবুজের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনটি বন্ধ পায়। রাতেই সবুজ বাড়িতে না ফিরলে তার চাচা খুঁজতে মশিউরের বাড়িতে যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে জানতে পারে সবুজের পোড়া দেহের খোঁজ মিলেছে।’
আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, ‘মরদেহের পুরোটা আগুনে পুড়ে গেলেও হাত ও পা অক্ষত অবস্থায় পাওয়া যায়। তার নিকট পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল ও শরীরের গঠন দেখে নিহত সবুজের পরিবার লাশ শনাক্ত করেছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও সদর সার্কেল আনিসুজ্জামান লালন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এছাড়া সিআইডি ও পিবিআইয়ের সদস্যরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply